ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কয়েকেটি দেশে করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ এলেও বাংলাদেশে এই ঢেউ আসার শঙ্কা খুবই কম বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলি কায়ডোস।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে আমেরিকান সেন্টারে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউএস সিডিসির পার্টনারশিপ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কায়ডোস বলেন, করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে এলেও বাংলাদেশে এই ঢেউ আসার শঙ্কা খুবই কম। যদিও আসে তা ছোট পরিসরে আসবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ভালো ছিল। এদেশের মানুষের করোনাসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক ভালো। এই কারণে বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
ভাইরাসের একক বাহক থেকে নতুন আরেকটি মহামারি শুরু হতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, একটি মহামারি নিয়ন্ত্রণে থাকার অর্থ এই নয় যে, আমরা অন্য মহামারি থেকে নিরাপদ। এজন্য আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
সিডিসির কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, করোনা মহামারি চলাকালীন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অর্জনগুলোকে আগামীতে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জনবল তৈরি অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি নতুন ও উদীয়মান জীবাণু শনাক্ত করতে পরীক্ষাগার ও নজরদারি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারজনিত সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে উল্লেখ করে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নিলি কায়ডোস বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক এক ধরনের হুমকি, মানুষ, প্রাণিসম্পদ ও পরিবেশে একে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
এটি বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকারমূলক একটি বিষয়। আমাদের অনেকগুলো যৌথ প্রকল্প বাংলাদেশি জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখার পাশাপাশি বিশ্বের বাকি মানুষের জীবনকেও প্রভাবিত করেছে